
প্রকাশিত: Tue, Apr 18, 2023 5:56 AM আপডেট: Fri, Jun 27, 2025 1:05 PM
ডেটা প্রটেকশন আইন ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের মতো নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার হবে: টিআইবি
মাজহারুল ইসলাম: ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) মনে করছে, ডেটা প্রটেকশন খসড়া আইনটি চূড়ান্তভাবে পাস হলে তা ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের (ডিএসএ) মতো যথেচ্ছ অপপ্রয়োগ হবে। এই আইন বাস্তবায়ন হলে সরকার ব্যক্তির ওপর নজরদারির ক্ষমতা এর অপপ্রয়োগ এবং মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ আরো জোরদার হবে।
সোমবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২৩ এর খসড়ার ওপর পর্যবেক্ষণ প্রকাশ করেছে টিআইবি। আইনটির পর্যবেক্ষণে নানা ঝুঁকি চিহ্নিত করেছে টিআইবি।
পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার বিষয়টি নজরদারির জন্য সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের দাবি জানানো হলেও, আলোচ্য খসড়ায় উপাত্ত সুরক্ষা এজেন্সি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার নিয়োগ দিবে সরকার। এই এজেন্সিকে আবার যে কোনো নিয়ন্ত্রক/প্রক্রিয়াকারীর নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যক্তির উপাত্তে, সার্ভারে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়েছে, উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার এবং উপাত্ত মুছে ফেলার নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া আছে। আর তদন্ত শুরু করার ক্ষেত্রে ‘মহাপরিচালকের কাছে প্রতিয়মান হইলে- এমন বিধান রেখে কার্যত আইনটির যথাযথ প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার বিষয়টি, সরকার নিযুক্ত এবং আবশ্যিকভাবে নিয়ন্ত্রিত এক ব্যক্তির ইচ্ছাধীন করা হয়েছে। সরকার নিজেই যেখানে উপাত্ত (ব্যক্তিগত তথ্য) ব্যবহারকারি এবং প্রক্রিয়াকারি, সেখানে সরকার যে আইনটি যথাযথভাবে মানছে, সেটি আরেকটি সরকারি সংস্থা কীভাবে নিশ্চিত করবে, তা বোধগম্য নয়।
পর্যবেক্ষণে বলা হয়, আলোচ্য খসড়ায় তিন ধরনের উপাত্তের কথা বলা হয়েছে, সংবেদনশীল উপাত্ত, ব্যবহারকারী সৃষ্ট উপাত্ত ও শ্রেণিবদ্ধকৃত উপাত্ত যা দেশের সীমানার ভিতরে মজুতের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি উপাত্ত স্থানান্তরের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আরোপের কথা বলা হয়েছে।
এর ফলে যে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে তা হলো, দেশের সীমানার ভিতরে উপাত্ত মজুত করার বিধান রেখে কার্যত উপাত্তের উপর নজরদারির এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা সরকারের হাতে রাখা হয়েছে। সরকারের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে থাকা উপাত্ত সুরক্ষা এজেন্সির প্রচণ্ড ক্ষমতা এবং এর বিপরীতে অপব্যবহারের রোধের কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না থাকায়, আলোচ্য খসড়াটি নিশ্চিতভাবে জনগণের সংবিধানস্বীকৃত বাকস্বাধীনতা ও গোপনীয়তার অধিকার ক্ষুণ্ণ করবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং জনগণের ব্যক্তিগত যোগাযোগের ওপর সরকারের বিভিন্ন সংস্থার নজরদারি জোরদার হবে। সম্পাদনা: শামসুল বসুনিয়া
আরও সংবাদ
[১]সরকার ধৈর্য্য ধরলেও সন্ত্রাসীরা দেশের অনেক জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
[১]রাজধানীর মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের জমায়েত
[১]আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে এনায়েতপুর থানায় হামলা চালায় [২]সারাদেশে পুলিশের অনেক স্থাপনা আক্রান্ত
[১]সুশাসন নিশ্চিতে রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজানোসহ ১১ দফা দাবি টিআইবি’র
[১]ড. ইউনূসকে ৬৬৬ কোটি টাকা কর পরিশোধ করতে হবে: হাইকোর্ট
[১]রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসসহ নৈরাজ্যকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান: ইকবাল সোবহান চৌধুরী

[১]সরকার ধৈর্য্য ধরলেও সন্ত্রাসীরা দেশের অনেক জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

[১]রাজধানীর মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের জমায়েত

[১]আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে এনায়েতপুর থানায় হামলা চালায় [২]সারাদেশে পুলিশের অনেক স্থাপনা আক্রান্ত

[১]সুশাসন নিশ্চিতে রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজানোসহ ১১ দফা দাবি টিআইবি’র

[১]ড. ইউনূসকে ৬৬৬ কোটি টাকা কর পরিশোধ করতে হবে: হাইকোর্ট
